ajkerit

জীবনে হতাশা থেকে মুক্তির উপায়ঃ সুখি জীবনের সন্ধান। দুঃশ্চিন্তা মুক্ত থাকার উপায়।

আল্লাহর রহমত থেকে কখনও নিরাশ হয়ো না!

আল্লাহর রহমত থেকে কখনও নিরাশ হওয়া একটি ভয়াবহ অপরাধ। কেননা আল্লাহ তাঁর বান্দাহদের তার রহমত থেকে নিরাশ হতে নিষেদ করেছেন। আর তাছাড়া তিনি বলেছেন কাফের ছাড়া অন্য কেউ তার রহমত থেকে নিরাশ হয় না। আল্লাহ সবচেয়ে ক্ষমাশীল ও দয়ালু। তিনি সবসময় তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করতে প্রস্তুত। তাই, কখনই আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া উচিত নয়।

হতাশা থেকে মুক্তির উপায়ঃ Happy Life

👉💟💬আল্লাহর রহমত থেকে কখনও নিরাশ হয়ো না!

👉💕Written by Nazrul Ibn Abul Bashar.

🌅🔛💬16 -09-2023.

ইন্ট্রোডাকশন:

আমাদের জীবনে কখনো কখনো এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয় যেখানে আমরা হতাশ, নিরাশ হয়ে পড়ি। আমাদের মনে হয় যে আমাদের জীবনে সবকিছুই শেষ হয়ে গেছে, কিছুই আর করার নেই, আমাদের আর বেঁচে থেকে লাভ নেই। কিন্তু মুসলমানদের জন্য, আল্লাহর রহমত থেকে কখনই নিরাশ হওয়া উচিত নয়, হতাশ হওয়া উচিত নয়। আল্লাহ তা'আলা সকল বিষয়ের উপর ক্ষমতাবান এবং সবচেয়ে ক্ষমাশীল ও দয়ালু। তিনি সবসময় তাঁর বান্দাদের জন্য তাঁর রহমতের দরজা খোলা রাখেন। তবুও তিনি তাঁর বান্দাদের পরীক্ষা করার জন্য কখনো কখনো অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির মুখোমুখি করেন যাতে তিনি তাদের পরিক্ষা করতে পারেন কে একনিষ্ঠ তার বান্দা, কে প্রকৃত ধৈর্যশীল, কে শুধু তারই উপর নির্ভরশীল ইত্যাদি যাচাই করার জন্য।

**** মূলকথা আলোচনাঃ

আমাদের জীবনে কখনও কখনও না চাওয়া স্বত্বেও  এমন কিছু পরিস্থিতি বা বিপদের সম্মুখীন হতে হয়,যে কারণে আমরা হতাশ বা নিরাশ হয়ে পড়ি, হয়তোবা  না পাওয়া জিনিসটার জন্য আমাদের প্রতি রাতে কাঁদা হয়!

কখনো কখনো আকাশের দিকে তাকিয়ে নির্ঘুম চোখে...কখনোবা জায়নামাজে অশ্রুসিক্ত নয়নে রবের দরবারে অভিযোগ করে যাই....বারবার মনে হয়, আমার রব কেন আমার এত পরীক্ষা নিচ্ছেন!
রবের এ দূর্বল বান্দা যেন আরো দূর্বল হয়ে পড়ে!
তারপর, অনেকটা সময় এভাবেই কেটে যাবে। হঠাৎ কোন একদিন মনে হবে, জীবনটা আমার পরিকল্পনার চেয়েও অনেক সুন্দর! সেদিনের সেই পরীক্ষার দিনগুলো তখন স্মৃতির পাতায় উঁকি দিবে! মনজুড়ে তখন বসন্তের হাওয়া বয়ে যাবে!. সেদিন মনের অজান্তেই চোখের পানি চলে আসবে, আর কৃতজ্ঞতায় মুখ থেকে বের হয়ে যাবে আলহামদুলিল্লাহ এবং সেজদায় নত হয়ে যাবেন মহান রবের দরবারে!
সেই পরীক্ষাই যেন আজকের আনন্দের গুরুত্বটা আরো গাঢ় করে তুলছে...
তখন বারবার সেই আয়াতটা মনে পড়ে যাবে- "তারাও পরিকল্পনা করেন, আল্লাহও পরিকল্পনা করেন।
বস্তুত, আল্লাহই সর্বোত্তম পরিকল্পনাকারী।"
(সূরা আনফাল : আয়াত ৩০)

আল্লাহর উপর পূর্ন ভরসা রেখে দাঁতে দাঁত চেপে সবর করে নিয়মিত কাজ চালিয়ে যান। নিশ্চয়ই আমার রব্বের ওয়াদা মিথ্যা নয়। তিনি আপনাকে হতাশ বা নিরাশ করবেন না। আর তাছাড়া সৎকর্মশীলদের কর্মফলকে তিনি বিনষ্ঠ করেন না। সুতরাও কখনও হতাশ বা নিরাশ হবেন না। বরং হযরত ইয়াকুব আঃ এর ন্যায় বলুনঃ
🌺 আমি তো আমার দুঃখ ও অস্থিরতা আল্লাহর সমীপেই নিবেদন করছি।
(সূরা ইউসুফ : আয়াত ৮৬)
আর আল্লাহ বলেছেন - "যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে, তার জন্য তিনিই যথেষ্ট।"
(সূরা তালাক : আয়াত ৩)

কোনো একদিন তিঁনি আপনাকে এত বেশি দিবেন যে, কৃতজ্ঞতায় সিজদাবনত হয়ে পড়তে ইচ্ছা করবে। সমস্ত দুঃখ এক নিমিষেই উধাও হবে। হোক তা দুনিয়ায় বা তার চেয়ে হাজার কোটি গুন উত্তম স্থান "জান্নাতে"!
🌺 "শীঘ্রই তিঁনি এত বেশি দিবেন যে তুমি খুশি হয়ে যাবে।"।

**** মূল কথা:

আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া একটি বড় ধরনের কুফরী। এটি আমাদেরকে আল্লাহর উপর থেকে আস্থা হারাতে এবং আমাদেরকে দুষ্ট শক্তির দ্বারা প্রভাবিত হয়ে ধ্বংশের দিকে ঠেলে দিতে পারে এবং পথভ্রষ্ট করে দিতে পারে!

মহান আল্লাহ তা'আলা কুরআনে বলেছেন,

"হে আমার বান্দাগণ, যারা নিজেদের উপর জুলুম করেছ, তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহ তোমাদের সব গোনাহ মাফ করেন। তিনি ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।" (সুরা যুমার: ৫৩)

এই আয়াত থেকে আমরা বুঝতে পারি যে আল্লাহ তা'আলা তাঁর বান্দাদের প্রতি অত্যন্ত দয়ালু এবং ক্ষমাশীল। তিনি সবসময় তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করার জন্য প্রস্তুত।

মুমিনদের জন্য সর্বদা আশাবাদী হওয়া গুরুত্বপূর্ণ কারণ এটি আমাদেরকে দুঃখ এবং ব্যর্থতার মধ্য দিয়েও এগিয়ে যেতে সাহায্য করে। যখন আমরা আশাবাদী থাকি, তখন আমরা বিশ্বাস করি যে সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। এটি আমাদেরকে ধৈর্যশীল হতে এবং আমাদের লক্ষ্য অর্জনের জন্য কাজ করতে সাহায্য করে।

আর আমরা ধৈর্যধারণ করে আল্লাহর রহমতের উপর ভরসা রাখতে পারি। আমরা যদি আল্লাহর উপর ভরসা করি, তাহলে তিনি আমাদেরকে অবশ্যই সাহায্য করবেন।

(সূরা আদ-দুহা : আয়াত ৫)

আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া থেকে বাঁচার কিছু উপায়ঃ
    • সর্বদা আল্লাহর উপর ভরসা করা
    • তার কাছে ক্ষমা চাওয়া
    • তার কাছে সাহায্য চাওয়া
    • তার আদেশ ও নিষেধ পালন করা
    • তার রহমতের প্রতি আশাবাদী হওয়া ইত্যাদি। 
**** আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ না হওয়ার জন্য এখানে কিছু টিপস দেওয়া হল:
  • আল্লাহর উপর ভরসা রাখুনঃ সর্বদা মনে রাখবেন যে আল্লাহই সবকিছুর একমাত্র মালিক। তিনিই আমাদের সবকিছুর ব্যবস্থা করেছেন। তাই, তাঁর উপর ভরসা রাখলে তিনি আমাদের কখনই হতাশ বা নিরাশ করবেন না।
    • আল্লাহর ক্ষমাশীলঃ আল্লাহ সবচেয়ে বড় ক্ষমাশীল। তিনি সবসময় তাঁর বান্দাদের ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। তাই, আমাদের ভুলের জন্য অনুতপ্ত হয়ে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি আমাদের সকল গুনাহ ক্ষমা করবেন।
      • অন্যদের সাহায্য করুনঃ অন্যদের সাহায্য করেও আমরা আমাদের নিজের হৃদয়কে হালকা করতে পারি। এবং আমরা আল্লাহর কাছ থেকে আরও বেশি রহমত পাওয়ার আশা রাখতে পারি। কেননা যে অন্যকে সাহায্য করে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাও তাকে সাহায্য করেন।

      উপসংহার:
      আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হওয়া মুমিনের কাজ নয়। মুমিনদের উচিত সব সময় আল্লাহর উপর ভরসা করা এবং তার কাছে ক্ষমা চাওয়া।
      👉💕Written by #nazrulibnabulbashar




      এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

      পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
      এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
      মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

      আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

      comment url