পাপের ইচ্ছা করলেও তা লিখা হয় না, আসুন তা হাদিসের আলোকে জানি।
পাপ একটি গুরুতর বিষয়। ইসলামে পাপকে খুবই ঘৃণ্য ও অপছন্দনীয় হিসেবে গণ্য করা হয়। আল্লাহ তা'আলা পাপ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন এবং পূণ্য কাজের আকাঙ্খা পোষণ করে তা বাস্তবায়ন করার নির্দেশ দিয়েছেন। পাপ-পুণ্য লিখার নিয়ম ও আল্লাহর অনুগ্রহ নিয়ে হাদিসের আলোচণা।
Nazrul Ibn Abul Bashar
![]() |
পাপের ইচ্ছা ত্যাগ করাও পূণ্যের কাজ |
হাদীসের মূলভাষ্যঃ
আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আল্লাহ বলেন: আমার বান্দা যখন কোন পাপ করার ইচ্ছা করে, তখন তোমরা তা লিখ না যতক্ষণ না সে তা করে। যদি সে তা করে সমান পাপ লিখ। আর যদি সে তা আমার কারণে ত্যাগ করে[1], তাহলে তার জন্য তা নেকি হিসেবে লিখ। আর যদি সে নেকি করার ইচ্ছা করে কিন্তু সে তা করেনি, তার জন্য তা নেকি হিসেবে লিখ। অতঃপর যদি সে তা করে তাহলে তার জন্য তা দশগুণ থেকে সাতশো গুণ পর্যন্ত লিখ”।
[বুখারি ও মুসলিম] হাদিসটি সহিহ।
[1] এ থেকে প্রমাণ হয় যে, পাপ ত্যাগ করাও নেকি, যদি তা আল্লাহর জন্য হয়।
[1] এ থেকে প্রমাণ হয় যে, পাপ ত্যাগ করাও নেকি, যদি তা আল্লাহর জন্য হয়।
****
Conclusion:
এই হাদিস থেকে আমরা যে শিক্ষা পাই তা হল, পাপ থেকে বিরত থাকাই উত্তম। যদি আমরা পাপ করার ইচ্ছা করি, তাহলে তা বাস্তবায়ন না করাই ভালো। এ হাদিস থেকে প্রমাণ হয় যে, পাপ ত্যাগ করাও নেকি, যদি তা একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য ত্যাগ করা হয়। আর আমাদের দ্বারা কোন পাপ হয়ে গেলে অতি দ্রুত ইস্তেগফার ও তাওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসা উচিত। কেননা আল্লাহ ক্ষমাশীল, তিনি ক্ষমাকে পছন্দ করেন। আর তাছাড়া হাদীসে আছে, প্রতিটি আদম সন্তানই পাপী, আর পাপীদের মাঝে তাঁরাই উত্তম যারা তাওবাকারী। এছাড়াও অন্য হাদীসে আমাদের প্রতিটি ভালো আমল সাথে সাথে আমল লেখার ফেরেস্তা লিখে পেলেন কিন্ত বদ আমল সাথে সাথে লিখেন না বরং দিনের গুনাহের জন্য রাত্র পর্যন্ত, রাতের গুনাহের জন্য দিন পর্যন্ত অপেক্ষা করেন যাতে আমরা দ্রুত তাওবা করে আল্লাহর দিকে ফিরে আসি।
আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url