ajkerit

কুরআনের আলোচিত পাঁচটি বিষয়: হালাল, হারাম, মুহকাম, মুতাশাবিহ ও আমছাল।

কুরআন হল মহান আল্লাহর বাণী। হাদিসের আলোকে এতে পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে: হালাল, হারাম, মুহকাম, মুতাশাবিহ ও আমছাল। এই পোস্টে আমি কুরআনের এই পাঁচটি দিক সম্পর্কে আলোচনা করব। Nazrul Ibn Abul Bashar.

 কুরআন এর পাঁচটি দিক: আল হাদিস

👉💟💬কুরআন এর পাঁচটি দিক: হালাল, হারাম, মুহকাম, মুতাশাবিহ ও আমছাল।

👉💕Written by Nazrul Ibn Abul Bashar.

🌅🔛💬06 -10-2023.

ইন্ট্রোডাকশনঃ

কুরআন ইসলামের ধর্মের অনুসারীদের পবিত্র ধর্মগ্রন্থ। এটি মানুষকে অন্ধকার থেকে আলোর দিশা দিতে এবং সকলের হেদায়েতের সঠিক পথ দেখানোর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে নাযিল হয়েছে বিশ্ব মানবতার মুক্তির দিশারী বিশ্বনবী, রহমাতাল্লিল আলামিন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর উপর। এটি আমাদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশিকা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাদীসের আলোকে কুরআনকে পাঁচটি প্রধান ভাগে ভাগ করা হয়েছে: হালাল, হারাম, মুহকাম, মুতাশাবিহ ও আমছাল। এই পাঁচটি দিক কুরআনের মূল বিষয়বস্তু এবং এর নির্দেশাবলীকে বোঝার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

 হাদীসের অনুবাদঃ

হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু তা'আলা আনহু হতে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, কুরআন পাঁচটি দিক নিয়ে অবতীর্ণ হয়েছে।

১. হালাল বা বৈধ, . হারাম বা নিষিদ্ধ, মুহকাম বা সুস্পষ্ট, ৪. মুতাশাবিহ বা দুর্বোধ্য এবং ৫. আমছাল বা উপমাবলী।

সুতরাং তোমরা হালাল কে বৈধ জেনে তা অনুসারে প্রতিটি কাজ করো, হারামকে নিষিদ্ধ জেনে তা পরিহার করে চলো,মুহকামাতের উপর আমল করো, ঈমান আন মোতাশাবিহাতের উপর।আর আমছালের দ্বারা উপদেশ গ্রহণ করো। কানযুল উম্মাহ। 

****** মূলকথা আলোচনাঃ 

কুরআনের হালাল ও হারামঃ

কুরআনে হালাল ও হারামের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। হালাল হল যা আল্লাহ তায়ালা অনুমোদন করেছেন এবং হারাম হল যা তিনি নিষিদ্ধ করেছেন। হালাল ও হারামের বিষয়টি ইসলামী জীবনচর্চার সব দিককে প্রভাবিত করে এবং এগুলো মেনে চলে জীবন পরিচালনা করা।

কুরআনের মুহকাম ও মুতাশাবিহঃ

কুরআনের আয়াতগুলিকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছে: মুহকাম ও মুতাশাবিহ। মুহকাম হল এমন আয়াত যাদের অর্থ স্পষ্ট এবং সুস্পষ্ট। মুতাশাবিহ হল এমন আয়াত যাদের অর্থ রহস্যময় এবং অস্পষ্ট।

কুরআনের আমছালঃ

কুরআনে অনেক আমছাল বা দৃষ্টান্ত রয়েছে। এই আমছালগুলি আল্লাহ তায়ালার নানা সৃষ্টির বিভিন্ন দিক থেকে শিক্ষা নিতে আমাদেরকে উৎসাহিত করে আল্লাহকে চিনার জন্য, বিশ্বজগৎ নিয়ে চিন্তা ও গভেষণা করার জন্য এবং সত্যের অস্বীকারকারীদের পরিণতির কথা চিন্তা করে নিজেকে শুধরে নেওয়ার জন্য 

ব্যাখ্যাঃ অত্র হাদিসের মর্মে জানা যায় যে, পবিত্র কোরআনের আয়াত সমূহ প্রধানত ৫ ভাগে বিভক্ত।

হালাল, হারাম, মুহকামাত,মুতাশাবিহ ও আমছাল এগুলির মধ্যে হালালকে হালাল জ্ঞান করে গ্রহণ করা, হারামকে অবৈধ জ্ঞান করে পরিহার করা কর্তব্য।


একজন মুসলমান ব্যক্তি কে আল্লাহর দরবারে শুধু তার ঈমান,নামাজ, রোজা ইত্যাদির হিসাব দিতে হবে না।বরং সে দুনিয়ায় যা কিছু করেছে, পৌষ্যদের যা ভোগ করায়েছে, ওয়ারিশদের জন্য যা রেখে গেছে, হকদারের হক কি আদায় করেছে কি করে নাই ইত্যাদি সব কিছুর হিসাব আল্লাহর কাছে দিতে হবে।


সে কিভাবে উপার্জন করেছে?? কিভাবে ব্যয় করেছিল? আল্লাহর হক ও মানুষের হক যথাযথভাবে আদায় করেছিল কি-না? এসব বিষয়েরও জবাবদিহি করতে হবে।


তাই সকলের উচিত হালাল-হারাম বিবেচনায় রেখে উপার্জন করা এবং ব্যয় করা।


*****

আর কোরআনে যে সকল নির্দেশ গুলো একবারে সুইস্পষ্টভাবে বর্ণিত হয়েছে ওই সবগুলোই হচ্ছে মুহকাম বা সুস্পষ্ট,এগুলোর উপর আমল করে চলা।


আর যা সুস্পষ্ট করে বর্ণিত হয় নাই তা হচ্ছে মুতাশাবিহ।যেমন আলিফ লাম-মীম,হা-মীম ইত্যাদি।এসবের উপর ঈমান আনয়ন করা।


আর কোরআনে যে সকল ঘটনাবলী বর্ণিত হয়েছে,তা হলো আমছাল।আর তার থেকে উপদেশ গ্রহণ করে জীবন পরিচালনা করা।


শেষকথাঃ আমাদের উচিত কুরআনে বর্ণিত হালালকে গ্রহণ এবং হারাম থেকে দূরে থাকা। মুহকামাতগুলো মেনে চলা ও মুতাশাবিহ এর উপর ইমান আনা। আর আমছাল থেকে শিক্ষা গ্রহণ করা।

👉💕Written by #nazrulibnabulbashar.

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

আজকের আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url